Type Here to Get Search Results !

ভারতের ভক্তদের মহান বাণী ও জীবনী।


বিবরণ:-🎇
বর্তমান বিশ্বে করোনা ভাইরাস প্রভাবে সমস্ত মানুষ এবং সেই সঙ্গে অন্যান্য প্রাণী বিপদের মধ্যে আছে। এখন সমস্ত বিশ্বে লকডাউন চলছে। আর্থিক অবস্থা প্রচন্ডভাবে ভেঙে পড়েছে। করোনা ভাইরাস প্রবল আক্রমণের ফলে বহু মানুষের প্রাণ দিতে হচ্ছে। খাবার সংকট এবং অর্থনৈতিক সংকট মধ্য দিয়ে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। তাই আমরা সবাই কেউ ভয় পাবো না। কারণ আমরা প্রমাণ দিয়েছি কঠিন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েও জয় করেছি। আমরা বিশ্ববাসী প্রতিজ্ঞা করছি এ যুদ্ধে জয় করবোই।
এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে বাড়ির মধ্যে বসে ভক্ত দের জীবন কাহিনী লেখা শুরু করলাম।



-: গম্ভীরনাথ :- 
বাণী :-"একজন যোগী তার যোগবিভূতির দ্বারা কল্পনাতীত বিভূতি প্রদর্শন করতে পারেন, কিন্তু ঈশ্বরের বিধানকে পরিবর্তিত করার কোন সাধ্যই তার নেই"।       - মহাযোগী গম্ভীর নাথ।

জীবনী :-
গম্ভীরনাথ মহান যোগী আনুমানিক 1820 খ্রিস্টাব্দে জম্মু-কাশ্মীরের একটি গ্রামে অবস্থাপন্ন ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিব কলা মহাযোগী গম্ভীরনাথ পূর্বাশ্রম সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না, তবে বাল্যকাল থেকে তিনি যে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ প্রতিবার অধিকারী ছিলেন, তা শোনা যায়। তিনি বিদ্যা অর্চনার সাথে সাথেই সঙ্গীতেও সার্থকতা অর্জন করেছিলেন। এমনিতে কাশ্মীরের মানুষের চেহারা সুন্দর, তার উপর ব্যায়াম ও খেলাধুলার মাধ্যমে গম্ভীর নাথের রুপ লাবণ্য অসামান্য হয়ে ওঠে। কিশোর কালি থেকেই বিনয় ও মার্জিত ব্যবহারের গ্রামের সকলেরই তিনি বিশেষ প্রিয়ভাজন ছিলেন। গ্রামের মানুষের সেবা কার্যে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। সচ্ছল ও ভালো পরিবারের ছেলে, সুতরাং অল সুখ-সম্ভোগ কালাতিপাত করার কোন বাধা ছিল না গম্ভীর নাথের, কিন্তু মনের মধ্যে সহজাত এক বৈরাগ্য ভাব বয়সের সাথে সাথে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে ত্রিতাপদগ্ধ মানুষের অসহায়তায় অধীর হয়ে মুক্তির জন্য তারা আকুলতা ক্রমেই বেড়ে উঠলো। সময় পেলেই গ্রামের পাশে মহাশ্মশান সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে বসে কত কি ভাবতেন। মাঝেমাঝে সেখানে আগত যোগী ও সন্ন্যাসীদের সেবাতেও আত্মনিয়োগ করতেন। এদের এই মাঝে খুঁজতেন আপন গুরুদেবকে, যিনি তাকে সঠিক পরিদর্শনের দ্বারা মুক্তির উপায় দেখিয়ে দেবেন। এইভাবে একদিন এক ত্রিকালজ্ঞ বৃদ্ধ সন্ন্যাসীর কাছে জানতে পারলেন গোরক্ষপুরে যোগী কুল গুরু মহাত্মা গোরক্ষনাথের প্রতিষ্ঠিত শ্রম মহান্ত গোপাল নাথ নাকি তার নির্ধারিত গুরু। সেইকালে অতুলনীয় ঋদ্ধি ও সিদ্ধির জন্য সমগ্র উত্তরাবর্তে স্বনামখ্যাত এই নাথ যোগীর দর্শনা অভিলাষে সংসারের সকল আকর্ষণ ছিন্ন করে গোরক্ষপুর এর দিকে ছুটতে লাগলেন গম্ভীর নাথ। প্রথম দিব্যদর্শনেই এই কিশোরের ললাটে ভাবি মহাযোগী রাজ রেখা দেখতে পেয়েছিলেন আচার্য গোপাল নাথ। অচিরেই এই নবীন শিষ্যকে দীক্ষা ও সন্ন্যাস দিয়ে তাকে এই নাম প্রদান করেছিলেন যোগীগুরু। তিন বৎসর গুরুর কাছে যোগ পন্থার সাধনা ও সিদ্ধি যথাযথভাবে শিক্ষা করে গুরুর নির্দেশেই একটি কৌপিন ও একটি কম্বল নিয়ে সাধন যোগ্য স্থান খুঁজতে বেরিয়ে পড়লেন গম্ভীর নাথ। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ক্লান্ত ও ক্ষুদার্থ গম্ভীর নাথ কি অলৌকিক উপায়ে খাদ্য জুগিয়েছিলেন স্বয়ং উপাস্য শ্রীনাথ মহাদেব। প্রাণের টানে ভক্তকে নিয়ে এলেন তিনি বারাণসীতে। এখানে একটি নির্জন স্থানে তিন বৎসর ধরে কঠোর সাধনায় মগ্ন থেকে যোগ সাধনা অনেকটা অতিক্রম করেন। এখান থেকে প্রায় আগে গিয়ে ঝুসি-সৈকতের এক বালুকা গুহায় বসিয়ে আরো কঠোর তপস্যায় ভগ্ন থেকে অসামান্য যোগঐশ্বর্য ও ব্রম্ভ লাভ করলেন। এরপর মহাযোগী গম্ভীরা নাথের পরিব্রাজক জীবনের নানা অলৌকিক কথা ও কাহিনী। এরই মধ্যে একবার গোরক্ষপুর এসি গুরুর চরণে প্রণাম ও গুরু ভাইদের আলিঙ্গন জানিয়ে গেলেন তিনি। বহু স্থান পরিভ্রমণ করে অবশেষে গোয়ার নিকটবর্তী ব্রম্ভযোনী পাহাড়ে শীর্ষস্থানে কপিলধারা নামক নির্জন স্থানে শরম সাধনায় মগ্ন হয়ে সিদ্ধিলাভ করেন। এই সময় তার কয়েকজন সেবক ভক্ত লাভ হয়। এইখানেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মন্দির ও আশ্রম। রাজা মহারাজা থেকে পথের ভিক্ষুক পর্যন্ত তার কৃপা লাভে কখনো বঞ্চিত হয়নি।
  1917 খ্রিস্টাব্দে 21 শে মার্চ মহা যোগেশ্বর গম্ভীর নাথ মহালয়ে বিলীন হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.