Type Here to Get Search Results !

কোনো শীর্ষক নেই





                       

                      কৃষ্ণ পুজোয় জবা ফুলে। 

                  

আমি সবসময় ভাবতাম জবা ফুলে কেন কৃষ্ণ পুজো হয় না? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আমি কিছু বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলি। উনারা আমায় ধরা সতীর গল্প বলেন। কোথা থেকে জবা গাছের সৃষ্টি হল।

                         ধরা সতীর বিষ্ণু ভক্তি।

                           
                            
ধরা সতী এবং তার স্বামী দুজনেই বিষ্ণু ভক্তি পরায়ণ ছিল। সারাদিনে ভিক্ষা করে জীবন ধারণ করতো এবং প্রভুর সেবা করতো। ভগবান নারায়নের সেবায় সব সময় মন নিয়োজিত রাখতো। একদিন ভগবান ছদ্মবেশে নারদ কে সঙ্গে নিয়ে ভক্তকে পরীক্ষা করার জন্য, এই ধরাধামে সতী ধরার নিকট উপস্থিত হলেন। ভগবান এবং নারদ দুজনে অতিথি ছদ্দবেশে ভক্ত সতী ধরার বাড়িতে উপস্থিত হলেন। খাবারের জন্য সতী ধরা মা কে বললেন। তখন সতী ধরা মা বললেন যে আমার স্বামী ভিক্ষা করতে গেছে, ফিরে এলে আমি তোমাদের প্রসাদ সেবা দেবো। ভগবান তখন নারদকে নির্দেশ করে, ধরা মা এর স্বামীর ভিক্ষার সামগ্রী চুরি করে নাও। নারদ অনিচ্ছা সত্ত্বেও, ধরা মা স্বামীর ভিক্ষার সামগ্রী চুরি করে নেয়। সতী ধরা স্বামীর নিকট সব কথা শুনলেন, তখন ধরা স্বামীকে বললেন, কিভাবে অতিথি সেবা করবেন? ধরা মায়ের  স্বামী বললেন, তুমি ভিক্ষা করে অতিথি সেবা দাও। ভারতে নারীদের মর্যাদা আছে। তখনকার দিনে নারীরা ভিক্ষা করতে যেত না। এদিকে অতিথি সেবা দেওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে স্বামীর অনুমতি নিয়ে ভিক্ষা করতে বেরোলো। অপরাহ্ণে ভিক্ষা কেউ দিল না। প্রত্যেক দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ভিক্ষা পেলেন না। ভগবান নারায়ন ভোলানাথ শিব কে আদেশ করলেন, তুমি গঙ্গার পাড়ে কুটির তৈরি করে থাকো। সতী ধরা যখন ভিক্ষা করতে যাবে, তখন তুমি কোন কিছুর বিনিময়ে ভিক্ষা দিও। সতী ধরা মা যখন কোথাও ভিক্ষা পেলন না, তখন ছদ্দবেশী ভোলানাথের কুটিরে ভিক্ষার জন্য গেলন। ভোলানাথ বললেন, তোমাকে আমি ভিক্ষা দিতে পারি, তবে কোন কিছুর বিনিময়ে। ধরা মা বললেন, আমার কাছেতে কোন কড়ি নেই। আমি অত্যন্ত গরীব। আমার বাড়িতে অতিথি এসেছে। তাদের সেবার জন্য আমি ভিক্ষা করতে বেরিয়েছি। ভোলানাথ বললেন, আমি কোন কিছুর বিনিময় তোমাকে চাল ও অন্যান্য সামগ্রী দিতে পারি। ধরা মা বললেন,আমার কাছে কি দেওয়ার আছে? শিব বললেন, মা তোমার কাছে আমি স্তন চাই। আমি তোমার পুত্র সম, তোমার স্তনের বিনিময়ে চাল ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যেতে পারো। তখন ধরা মা স্বামীর অনুমতি চাইলেন। স্বামী তাকে অনুমতি দিলো। ধরা মা স্তন কেটে ছদ্দবেশী ভোলানাথের হাতে তুলে দিল। স্তন কেটে দেওয়ার ফলে বুক থেকে যে রক্ত পড়েছিল সেই রক্ত থেকে জবা গাছের সৃষ্টি হল। ভগবান ভোলানাথ বললেন, মা তোমার স্তন থেকে বেল গাছ সৃষ্টি হবে। এই বেলপাতা এবং বেল ফল আমার পুজোর কাজে লাগবে। ধরা মা ছদ্দবেশী ভগবান নারায়ন এবং নারদ কে প্রসাদ সেবা দান করলেন। এখানে ভগবান সেবা পেয়ে তৃপ্ত হলেন, এবং ধর আমাকে আশীর্বাদ করলেন।              -----------------------------------------------
তাহলে আমরা জানতে পারলাম ধরা মা এর বুকের রক্ত থেকে জবা গাছের সৃষ্টি হল। এই নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকতে পারে। আমি কোনো বিতর্কে যাব না। আপনারা পুরানে দেখে নেবেন। আমি বলেছি জবা ফুলের কৃষ্ণ পূজা। 
এই প্রমাণ দেওয়ার আগে, আমি বলব জবা ফুলের কৃষ্ণ পূজো করা যায়। আমরা গীতা পড়েছি ওখানে তিন গুণের কথা বলা হয়েছে। সাত্ত্বিক গুন, রাজসিক গুন, তামসিক গুন। সর্বক্ষেত্রে তিনগুণ এর বিচার হয়। তাহলে কৃষ্ণ পূজোতে জবা ফুলের তিন গুণের বিচার উপলব্ধি করা যায়। সাদা জবা সাত্ত্বিক গণ পূজো করবে, লাল জবা রাজসিক গণ পুজো করবে। বাসি ফুল তামসিক গণ পুজো করবে।
বিষ্ণু রহস্যেই বর্ণিত আছে জবা ফুলে কৃষ্ণ পূজো। যে ব্যক্তি জবা ফুলের দ্বারা বিধানে ভক্তি সহকারে কৃষ্ণের পুজো করেন, উক্ত ব্যক্তি পরমা গতি প্রাপ্ত হন।
আমি বলব, যে জবা ফুল দিয়ে পরম বৈষ্ণব ও বৈষ্ণবীর
পুজো করা হয়। সেই দেহেই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজ করেন।
আমি বলব আপনারা জবা ফুলে কৃষ্ণ পূজো করে পরম গতি লাভ করতে পারবেন।
------------------------------------------------------------------------
                                   -:সমাপ্ত:-
                                          ✻

                   

করোনা ভাইরাস: - 🎇


করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আজ সারা পৃথিবীতে লক ডাউন এর মাধ্যমে আছি। দিনকে দিন মানুষের মৃত্যুর মিছিল চলছে। লকডাউন এর ফলে বহু মানুষের খাদ্যের সংকট দেখা গেছে। যারা দিন আনে দিন খায় তাদের খুব অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। একদিকে করোনা ভাইরাস এর প্রভাব আর অন্যদিকে খাদ্যের সংকট। মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র পরিবারের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আছে। আমরা তো সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে চলেছি। এই লড়াই কবে থামবে তা আমরা কেউ জানিনা। এই যন্ত্রণার মধ্যে থেকে আজকের দিনে আমি এমন একটা টপিক নিয়ে লিখছি আমার এই ব্লগে। যদি আপনাদের ভালো লাগে আমায় কমেন্ট করবেন। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন করোনা ভাইরাস এর যুদ্ধে সামিল হবেন। আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে করোনা ভাইরাস এর বিরুদ্ধে জয়ী জন্য অঙ্গীকার করব।

.🌷

 আমার এই ব্লগে আপনারা আসুন, ব্লগ টি পড়ুন, যদি ভালো লাগে ব্লগ লেখায় উৎসাহিত করুন। আমি এই ব্লগে আরো নতুন নতুন অজানা তথ্য নিয়ে আসবো। তাই আপনারা আমার এই ব্লগ টি কে, কমেন্ট করুন, শেয়ার করুন। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানালাম।

    
       

                                                                   
 






                                                                             
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.